বর্তমানে প্লাস্টিক-ভিত্তিক পণ্যগুলি বাংলাদেশের একটি বিশাল শিল্প খাতের প্রতিনিধিত্ব করে। দেশীয় বাজারের আকার প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ৭১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশীয় বাজার এবং বাকিটা আন্তর্জাতিক বাজারে। প্লাস্টিক খাতে প্রায় ৩০০০ উত্পাদন ইউনিট রয়েছে, যা সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে ২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ অন্যতম কম প্লাস্টিক ব্যবহারকারী দেশ।
প্লাস্টিক একটি প্রকৌশল উপাদান যা বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে এবং কিছু পণ্য রপ্তানির জন্য প্লাস্টিক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গত দুই দশকে এই শিল্পটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বর্তমানে ৩০০০ প্লাস্টিক উৎপাদন ইউনিট রয়েছে, যার ৯৮% ছোট এবং মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) অন্তর্ভুক্ত। দেশীয় বাজারের আকার ৭০০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশে মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার প্রতি বছর ৫ কেজি। প্লাস্টিক সেক্টর দেশের জিডিপির ১% অবদান রাখে এবং প্রায় অর্ধ মিলিয়ন মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সরবরাহ করে।
প্লাস্টিক খাতের গভীরতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এই খাতে বহুমুখী সীমাবদ্ধতা এবং ভবিষ্যতে বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একটি বড় বাধা হলো প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার অভাব, যেমন দক্ষ জনশক্তি, মান নিয়ন্ত্রণের জন্য পরীক্ষার সুবিধা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং পরামর্শ সেবা। সস্তা শ্রমের প্রাপ্যতা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে প্লাস্টিকের বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প দ্রুত বিকাশ করছে, যা পেট্রোলিয়ামের (পলিমারের কাঁচামাল) খরচ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক বাজারে সম্ভাব্য সুবিধা প্রদান করছে।
আইটি সহায়তাঃ টোটাল আইটি সলিউশন