সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে ২৬ কোটি টাকার কার্গো টার্মিনাল অকার্যকর – রপ্তানিতে ধাক্কা
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে একটি অত্যাধুনিক কার্গো টার্মিনাল, যার ধারণক্ষমতা প্রায় ১০০ টন পণ্য। তবে দুঃখজনকভাবে, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্যাকেজিং ও ওয়্যারহাউজ সুবিধা না থাকায় এটি এখনো কার্যকরভাবে চালু করা যায়নি। এর ফলে রপ্তানিকারকরা পণ্য রপ্তানি করতে পারছেন না, এবং কার্গো টার্মিনালটি পড়ে আছে ব্যবহারহীন।
রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজারে পণ্য পাঠাতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ওয়্যারহাউজ ও প্যাকেজিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সিলেট বিমানবন্দরে এই সুবিধা না থাকায় তাদের ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে শুধু সময় ও খরচই বাড়ছে না, তাজা শাকসবজি ও ফলমূলের মানহানি ঘটছে – যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের প্রতিযোগিতা কমে যাচ্ছে।
সিলেট অঞ্চলে প্রচুর সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্য রয়েছে – যেমন শাকসবজি, আনারস, লেবু, সাতকড়া, হিমায়িত মাছ, সুগন্ধি চাল, নকশিকাঁথা, কুটির শিল্পজাত আসবাবপত্র ইত্যাদি। এসব পণ্যের মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যাপক চাহিদা থাকলেও, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে এই সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং হাউজ ও মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাব স্থাপন করতে হবে। এমনকি সরকার যদি সরাসরি বিনিয়োগে আগ্রহী না হয়, তাহলেও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) পদ্ধতিতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অংশীদার করে এই কার্যক্রম চালু করা সম্ভব।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, কার্গো টার্মিনাল চালুর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং ও ওয়্যারহাউজ ব্যবস্থা চালু হলেই রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে তারা আশাবাদী।
এই টার্মিনাল চালু হলে শুধুমাত্র সিলেট নয়, পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের কৃষি ও কুটির শিল্প অর্থনীতিতে নতুন গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আইটি সহায়তাঃ টোটাল আইটি সলিউশন