শনিবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | সন্ধ্যা ৬:০০
শিরোনাম :
টঙ্গীতে প্লাস্টিক গুদামে আগুন, সড়কে যান চলাচল বন্ধ এক্সনমোবিল ও মালপ্যাকের যৌথ উদ্যোগে উচ্চ টেনাসিটি প্রি-স্ট্রেচ ফিল্ম উদ্ভাব Multi-layer Film – আধুনিক প্যাকেজিংয়ের অন্যতম ভবিষ্যত ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক প্যাকেজিং: নিরাপত্তার নতুন গণ্ডি প্যাকেজিংয়ের চকচকে ‘ফয়েল’ আসলে কী দিয়ে তৈরি? জানলে অবাক হবেন প্যাকেজিং এর মাধ্যমে কিভাবে ব্র্যান্ড গ্রাহকের কাছে ম্যাসেজ পাঠায়? রঙিন চিহ্নে খাদ্যের রহস্য—সবুজ, লাল, নীল চিহ্ন কী বলছে আপনাকে? একটি চিপস প্যাকেট বানাতে কত ধরনের প্লাস্টিক প্রয়োজন? অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো পুনঃব্যবহারযোগ্য কাপ ব্যবস্থা চালু চীনের বাজারে Gen Z লক্ষ্য করে Starbucks-এর নতুন বোতল ডিজাইন উন্মোচন
ফরিদপুরে পলিথিন বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদনের আধুনিক প্ল্যান্ট উদ্বোধন

ফরিদপুরে পলিথিন বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদনের আধুনিক প্ল্যান্ট উদ্বোধন

ফরিদপুরের আদমপুরে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক পাইরোলাইসিস প্ল্যান্ট, যা পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন করবে।

ডেনমার্ক সরকারের অর্থায়নে নির্মিত এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩৬০ কেজি পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করে জ্বালানি তেল ও কার্বন উৎপাদন করা হবে। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ইতোমধ্যে ১,২০০ লিটার জ্বালানি তেল উৎপাদিত হয়েছে। উৎপাদিত তেল ট্রাক্টর, ট্রাক, জাহাজ ও ডিজেলচালিত জেনারেটরে ব্যবহারযোগ্য, আর ব্ল্যাক কার্বন ছাপাখানার কালি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

প্ল্যান্টটি বাস্তবায়নে একত্রে কাজ করেছে ফরিদপুর পৌরসভা, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন, রিভার-সাইকেল, সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) ও ড্যানিডা মার্কেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ও হেড অব ট্রেড আলী মুস্তাক বাট। উদ্বোধনের পর ‘পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি, পরিবেশ বাঁচাই’ স্লোগানে একটি সাইকেল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়, যা আদমপুর থেকে শুরু হয়ে শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল চত্বরে শেষ হয়।

ফরিদপুর পৌরসভার দৈনিক প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৬.২ টন, যার মাত্র ৩০ শতাংশ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা হয়। নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে তা ৫০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

একটি সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা জানান, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্যকে জ্বালানি হিসেবে পুনঃব্যবহার করা সম্ভব, যা পরিবেশ দূষণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাঁরা আরও বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য যথাযথভাবে সংগ্রহ ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করতে হলে শহরবাসীকে সচেতন হতে হবে এবং বর্জ্য সংগ্রহকারী কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।

ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ফরিদপুর গড়তে এই প্রকল্প একটি বড় উদ্যোগ। এ ধরনের আধুনিক প্ল্যান্ট অন্যান্য শহরেও স্থাপন করা হলে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

 

শেয়ার করুন





Translate Site »