google.com, pub-7673873710441026, DIRECT, f08c47fec0942fa0
অবহেলিত কচুরিপানায় সম্ভাবনার আলো: তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিক
জলাশয়ে অবাঞ্ছিত আগাছা হিসেবে পরিচিত কচুরিপানা নিয়ে বিরক্তির শেষ নেই। এটি নৌপরিবহন, মাছ ধরা, এমনকি কৃষিকাজেও সমস্যা সৃষ্টি করে। তবে, একদল তরুণ উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে এটিকে সম্পদে পরিণত করেছে। কেনিয়ার নাইভাসা হ্রদে কচুরিপানার আধিপত্য ভয়াবহ রূপ নিলেও, সেখান থেকেই তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিক।
কেনিয়ার স্টার্টআপ হাইপ্যাক টেকনোলজিস জলজ উদ্ভিদ ওয়াটার হায়াসিন্থ (কচুরিপানার বৈজ্ঞানিক নাম) ব্যবহার করে তৈরি করছে জৈব অবক্ষয়শীল প্লাস্টিক। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জলাশয় থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করে, যা প্রথমে রোদে শুকানো হয়। এরপর বিশেষ দ্রবণের সঙ্গে মিশিয়ে এটি পিচ্ছিল মিশ্রণে পরিণত করা হয়, যা থেকে তৈরি হচ্ছে ব্যাগ, খাম, চারা গাছের টবসহ বিভিন্ন পণ্য।
হাইপ্যাক টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা জোসেফ নগরিথ জানিয়েছেন, তাদের তৈরি এই পণ্যগুলো কার্বন নেগেটিভ। এর কাঁচামাল জলজ উদ্ভিদ, যা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন গ্রহণ করে, ফলে এটি পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই প্লাস্টিক প্রচলিত তেল-ভিত্তিক প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়ক।
ইস্ট আফ্রিকান জার্নাল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, কেনিয়ার জলাশয়গুলোতে ওয়াটার হায়াসিন্থের আধিপত্য প্রতিবছর ১৫০ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি করছে।
বাংলাদেশের নদী-নালা ও জলাশয়েও প্রচুর কচুরিপানা ছড়িয়ে আছে, যা নৌপরিবহন, মাছ ধরা এবং সেচ ব্যবস্থার জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি এই প্রযুক্তি বাংলাদেশে আনা যায়, তাহলে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে এবং একইসঙ্গে কচুরিপানা ব্যবহারের মাধ্যমে একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
আইটি সহায়তাঃ টোটাল আইটি সলিউশন