প্লাস্টিক দূষণ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে গবেষকদের মতে, প্রকৃতিতেই এর সমাধান খুঁজে পাওয়া গেছে। স্পেনের গবেষকরা জানিয়েছেন, মোমের কীটের লালায় এমন দুটি রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে যা প্রচলিত প্লাস্টিককে ভেঙে ফেলতে সক্ষম। স্প্যানিশ ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের (সিএসআইসি) গবেষকরা গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন যে, তাদের এই আবিষ্কার প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, শুঁয়োপোকার লালায় চিহ্নিত দুটি এনজাইম স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই পলিথিন দ্রুত ভেঙে ফেলতে সক্ষম। এই সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি নেচার কমিউনিকেশনস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যবহার সর্বত্র দেখা যায় এবং এটি সমুদ্র থেকে শুরু করে পাহাড়ের চূড়া পর্যন্ত পরিবেশগত সংকট সৃষ্টি করছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই এনজাইমগুলো মাত্র এক ঘণ্টায় প্লাস্টিক ভেঙে ফেলতে পারে। প্রকৃতিতে এই প্রথমবারের মতো এমন কার্যকর রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে বলে তারা উল্লেখ করেছেন। গবেষকরা আশা করছেন, তাদের এই আবিষ্কার প্রাকৃতিক উপায়ে প্লাস্টিক সমস্যার সমাধানে সহায়ক হবে।
তারা আরও জানান, প্লাস্টিক বা পলিথিন খুব ধীরে ভেঙে যায় এবং এটি অক্সিজেন প্রতিরোধী। সাধারণত, প্লাস্টিক ধ্বংস করতে অত্যধিক তাপ ও অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করা হয়। তবে এবার প্রাকৃতিক উপাদান পাওয়া গেল যা প্লাস্টিক ধ্বংস করতে সক্ষম।
২০১৭ সালে, গবেষকরা প্রথম মোমের কীটের রাসায়নিকে প্লাস্টিক ভাঙার উপাদান থাকার বিষয়টি আবিষ্কার করেছিলেন। বর্তমানে, তারা এই কীটের লালায় বিশেষ এনজাইম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।