বায়োডিগ্রেডেবল বা পচনশীল পলিথিন, বর্তমানের বহুল আলোচিত বিষয়। পলিথিন যেখানে শতবছরব্যাপী পরিবেশের ক্ষতি করে সেখানে বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন এক আশীর্বাদস্বরূপ পরিবেশবান্ধব আবিষ্কার। বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন হলো পরিবেশবান্ধব পলিথিন যা, পরিবেশের অণুজীবগুলো পলিথিনের কাঠামো বিপাক ও ভেঙে ফেলে এবং পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। বর্তমানে এই পলিথিনের চাহিদা বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত বর্ধিত হচ্ছে। এটি একাধারে পরিবেশের বন্ধু এবং অর্থনীতির অগ্রগতিতে রাখছে বিশাল অবদান। পচনশীল পলিথিনের কার্বন কাঠামো আমরা পেতে পারি ভুট্টা বা স্টার্চজাতীয় ফসল থেকে যাকে বলা হচ্ছে বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন। এই বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন মূলত প্রস্তুত করা হয় বিভিন্ন প্রকার ফসল (ধান, গম, ভুট্টা, পাট ইত্যাদি) অথবা স্টার্চ জাতীয় শাক-সবজি থেকে এবং তা পরিবেশে প্রাকৃতিকভাবে পচে যায়। এর কাজ, কাঠামো সব কিছুই রাসায়নিক পদ্ধতিতে বানানো পলিথিনের মতোই। কিন্তু এই পলিথিন এর বিয়োজনে অণুজীব খুব ভালো কাজ করে? এই পলিথিনের কিছু উলেস্নখযোগ্য উপকার হলো এটি অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোকে সংরক্ষণ করে, কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনে এবং এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। দেশে বিদেশের বৈজ্ঞানিকরা অনেক আগে থেকেই এটি নিয়ে কাজ করেছেন। বর্তমানে ভারত, চীন, ছাড়াও পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশগুলো বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন প্রস্তুত করছে এবং এর চাহিদা আকাশচুম্বী প্রায়।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অবস্থিত অভনী কোম্পানিটি বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন উৎপাদন করে। এ ছাড়া আফ্রিকা, উগান্ডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, উত্তর আমেরিকাসহ প্রায় শতকের মতো দেশ রাসায়নিক পলিথিনকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে এবং তারা পচনশীল পলিথিন ব্যবহার করে থাকেন। ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সূত্র ধরে পলিথিন ব্যাগের উপযুক্ত বিকল্প প্রস্তাব দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের দেশের কিছু কারখানায় পচনশীল এই পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছে যা ২০১৯ সালে থেকেই উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো গাজীপুরের কামারপাড়ায় অবস্থিত ‘এক্সপো এক্সেসরিস’। এখানে ভুট্টা থেকে এই পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা বিদেশে সরাসরি রপ্তানি করে এবং এর চাহিদা প্রচুর। মোহাম্মদ এনামুল হক, যিনি এই কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর তিনি বলেছেন, ‘এক্সপো এক্সেসরিস বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে টার্গেট করেছে, এবং ৩০টি কারখানায় বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন সরবরাহ করা হচ্ছে।
আইটি সহায়তাঃ টোটাল আইটি সলিউশন