খাবার, কসমেটিকস, ওষুধসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য ও গার্মেন্টস পণ্য বাজারজাত করার জন্য কার্টন বা কাগজের বাক্সের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। হাতে কিছু পুঁজি থাকলে আপনি এমন একটি প্যাকেজিং কারখানা শুরু করতে পারেন।
যেভাবে শুরু করবেন: প্যাকেজিং কারখানা করতে চাইলে এ বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। যদি তা না থাকে, তাহলে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। এ বিষয়ে বিনামূল্যে পরামর্শের জন্য গুলশান-১ এ অবস্থিত ‘টোটাল প্যাক’ এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের ফোন নম্বর ০১৮১৮২৫২২১২।
প্রাথমিকভাবে চার থেকে পাঁচ কাঠা জায়গা নিয়ে একটি ছোট কারখানা শুরু করা যাবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফায়ার লাইসেন্স ইত্যাদি। কারখানার জন্য বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ (৪৪০ ভোল্ট) এবং লোডশেডিংয়ের সময়ের জন্য একটি জেনারেটর প্রয়োজন।
প্রাথমিক যন্ত্রপাতি:
১. হেনশিয়ার মেশিন (কাগজ কাটার জন্য)
২. কর্গেট বা করগেশন মেশিন (ভাঁজ করার জন্য)
৩. পেস্টিং মেশিন (গাম লাগানোর জন্য)
৪. প্রেশার মেশিন (চাপ দেয়ার জন্য)
৫. কিরিচ মেশিন (সাইজ করার জন্য)
৬. স্লোডিং মেশিন (বাক্সের আকার দেয়ার জন্য)
৭. ডাই কাটিং মেশিন (এটা প্রয়োজন বাক্সের গায়ে ছিদ্র করার জন্য)
৮. স্টিচিং মেশিন (সেলাই করার জন্য)
শ্রমিক নিয়োগ: প্রতিটি মেশিনের জন্য একজন মেশিনম্যান ও একজন হেলপার প্রয়োজন। কিছু মেশিনের জন্য দু’জন হেলপার প্রয়োজন হয়। পুরো কারখানার জন্য ১৫ থেকে ১৮ জন কর্মীর প্রয়োজন হবে। মেশিনম্যানদের বেতন তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দিতে হবে।
কাঁচামাল সংগ্রহ: কাগজের বাক্স বানাতে মিডিয়া পেপার ও লাইনার পেপার প্রয়োজন হয়। মিডিয়া পেপার ভাঁজ করে ওপরে লাইনার পেপার লাগানো হয়। লাইনার পেপার সাধারণত দুই ধরনের হয়: বাদামি এবং সাদা। প্রতিকেজি মিডিয়া পেপারের দাম ৩২-৩৩ টাকা, লাইনার পেপার ৩৯-৪৩ টাকা, সিলিকেট গাম ১৫-১৬ টাকা, আইকা ৪০-৬০ টাকা, এবং পিন ৯৪-১০০ টাকা।
লাভ: ছোট একটি কারখানায় দিনে পাঁচ হাজার কার্টন বা বাক্স তৈরি করা সম্ভব। একটি কার্টন তৈরিতে মোট ব্যয় ২৮ টাকা এবং বিক্রি ৩০-৩২ টাকা। লাভ দুই থেকে চার টাকা। সপ্তাহে পাঁচ হাজার বাক্স তৈরি করলে লাভ হবে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।
যাদের পুঁজি ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা, তারা Auto Packaging Machine ব্যবহার করে ব্যবসায় আসতে পারেন। এতে গার্মেন্টসের অর্ডার পাওয়া সহজ হবে। তবে এতো বড় বিনিয়োগে Bond licence এবং Strong Marketing team খুবই প্রয়োজন।
প্রায় ২.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে ২ বিঘা জমিতে এই কারখানা স্থাপন করলে মাসে ১ কোটি টাকার উৎপাদন সম্ভব।
আইটি সহায়তাঃ টোটাল আইটি সলিউশন